সূচিপত্রসহ একটু পড়ে দেখুন
ফ্ল্যাপের কথাঃ
একজন মানুষের কিডনি অথবা লিভার থেকে একটি কোষ নিয়ে উপযুক্ত পরিবেশে রেখে দিলে সেই কোষটি বেঁচে থাকবে! শুধু যে বেঁচে থাকবে তাই নয়, ক্ষেত্রবিশেষ এটি কোষ-বিভাজন করে বংশবৃদ্ধিও করবে! একটি জীবের টিকে থাকার মতো প্রায় সব বৈশিষ্ট্যই থাকে একটি কোষের মধ্যে। জীবনকে তাই খুঁজতে হয় কোষের ভেতরে, জীবনকে খুঁজতে হয় কোষের ভেতরে থাকা অসংখ্য জৈব অণুতে, জীবনকে খুঁজতে হয় সেই সকল অণুদের মধ্যে সংঘটিত অসংখ্য বিক্রিয়ায়, জীবনকে খুঁজতে হয় সেইসব বিক্রিয়া থেকে সৃষ্ট শক্তিতে, জীবনকে খুঁজতে হয় DNA’র ভেতরে খোদাই করা বংশগতীয় সংকেতে। আপনি সাদা হবেন না কালো হবেন, লম্বা হবেন না খাটো হবেন, জটিল কোনো বংশগত রোগ থাকবে কিনা এর সবকিছুই লেখা থাকে আপনার কোষের ভেতরে থাকা DNA-এর মধ্যে। DNA-এর বিজ্ঞান এখন এতদূর এগিয়ে গেছে যে- শুধুমাত্র DNA থেকেই একজন মানুষের মুখ পর্যন্ত তৈরি করে ফেলা যায়!
জীবন আসলে কী- তা বুঝতে চাইলে জীববিজ্ঞানের এ-টু-জেড পড়ার কথা বলেন অনেকেই। অনেক বিজ্ঞানীই বলেন, জীবন বিজ্ঞানের সকল বিষয়াদির সামষ্টিক রূপই হচ্ছে জীবন। কিন্তু জীবন যেমন জটিল, তেমনি জীববিজ্ঞানের বিষয়গুলোও অত্যন্ত বিস্তৃত। আর বিজ্ঞানীরা প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করেই চলেছেন। ফলে অল্প পড়াশুনাতে জীবনকে বোঝা একটু কঠিন। তবে আমরা চাইলে জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেও জীবন নিয়ে একটা ভালো ধারণা পেতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের সব থেকে বেশি কাজে লাগবে কোষের মলিকিউলার বায়োলজি। এই বইতে কোষের মলিকিউলার বায়োলজির ওপর ভিত্তি করে জীবনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাথে রয়েছে জেনেটিক্স, এপিজেনেটিক্স এবং জীববিজ্ঞানের আধুনিক শাখাগুলো থেকে পাওয়া জ্ঞানের সমন্বয়। চলুন তাহলে জীবনের রহস্য উম্মোচন করা যাক।