...

হোয়াটসঅ্যাপ : 01950-886700

ইজরায়েল অ্যান্ড ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন: ইরাক, ইরান অ্যান্ড দ্যা প্ল্যান টু রিমেক দ্যা মিডলইস্ট

ব্রিটিশ সাংবাদিক জনাথন কুক প্রথম জীবনে দ্যা গার্ডিয়ান এবং দ্যা অবসার্ভার পত্রিকার স্টাফ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু ২০০১ সালের পর তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করতে শুরু করেন। এসময় তিনি কিছু ইসরায়েল ভিত্তিক পত্রিকার জন্য কাজ করতেন এবং ইসরায়েলের নাজিরাত অঞ্চলে থাকতেন। স্থানীয় ভাষায় কিছুটা দক্ষ হওয়ার পর তিনি খুব অদ্ভুত একটা বিষয় লক্ষ করলেন। ইসরায়েলের পত্রিকাগুলোর ইংরেজি ভার্সন আর হিব্রু ভার্সনের মধ্যে দিন রাত তফাৎ! তিনি হিব্রু পত্রিকাগুলো পড়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রনীতি এবং অ্যামেরিকার উপর তারা কীভাবে প্রভাব খাটায় এই সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য জানতে পারলেন। ইসরায়েলের পত্রিকাগুলোর ইংরেজি ভার্শনের এসবের কিছুই লেখা হয় না। হিব্রু পত্রিকার লেখাগুলো পড়লে আপনার মনে হবে যেন- ইসরায়েল তার ইচ্ছামতো যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।

হিব্রু পত্রিকাগুলোর এইসব খবর পড়ে তিনি ইসরায়েল-অ্যামেরিকা সম্পর্ক এবং এই দুই দেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন। শুরু করেন তার নিজের মত করে ইনভেস্টিগেশন। এই ইনভেস্টিগেশনে বেড়িয়ে আসে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশেষ করে ইসরায়েল কিভাবে মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে সেই বিষয়ে অবিশ্বাস্য সব তথ্য বেরিয়ে আসে।

কুকের ইনভেস্টিগেশন থেকে দেখা যায় যে- বুশ প্রশাসন যখন ইরাক আক্রমণ করেছিল- সেটা ছিল মূলত ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত পরিকল্পনা। ইসরায়েলের পরিকল্পনা ছিল, এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাবে। এতে একদিকে ইসরায়েল হবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ, অন্যদিকে ইরানকে তারা আলাদা করে দেবে এবং পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হতে দেবে না। অর্থাৎ, ইরাকের বিরুদ্ধে বুশের এই যুদ্ধে একই সাথে দুই দেশই লাভবান হবে। এই বইতে জনাথন কুক যুক্তি দেখিয়েছেন  যে- বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে এটা মূলত ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেই মিলিত পরিকল্পনারই ফলাফল।

বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ছাড়া অন্য কোন শক্তিশালী রাষ্ট্র নেই। আরব মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আগের মত সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও আর নেই। ফলে ইসরায়েল এখন মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র বড় শক্তি হিসেবে টিকে আছে। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর আগের অবস্থা না থাকার ফলে এখন ইসরায়েল কোনো আরব রাষ্ট্রকে আক্রমণ করলেও অন্য কোনো আরব রাষ্ট্র সেখানে বাধা দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অথচ এখন যদি ইরাক আগের মত শক্তিশালী রাষ্ট্র থাকত তাহলে পরিস্থিতি হতো সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনার এই বিষয়টা নিয়ে জনাথন কুক তার বই Israel and the Clash of Civilisations: Iraq, Iran and the Plan to Remake the Middle East এ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই বইতে তিনি ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নথিপথ থেকে প্রমাণ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতামত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.