একটু পড়ে দেখুন
বুক সামারি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার ও তার সামরিক কর্মকর্তারা একটা দুর্ধর্ষ পরিকল্পনা করে। হিটলার চেয়েছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এক আক্রমণ করে মাত্র ১০ সপ্তাহের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করে নিতে। শুধু পরিকল্পনা নয়, ১৯৪১ সালের জুন মাসের শেষের দিকে সত্যি তারা বিশাল এক সামরিক অভিযান চালায়। এটা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক আক্রমণ। এই এক সামরিক অভিযানেই প্রায় ৩৮ লক্ষ সৈন্য অংশ নিয়েছিল। এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন বারবারোসা’।
অপারেশন বারবারোসা, অর্থাৎ– জার্মান-রুশ সংগ্রামের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম দফাতে আপনাকে স্বাগত। ১০ জুলাই তারিখে ভোরের আলো ভালোভাবে ফোটার আগেই জার্মানদের বিভিন্ন প্যাঞ্জার আর মোটরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন নীপার আর পশ্চিম ভীনা নদী অতিক্রম করতে থাকে। মূল লক্ষ্য: সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কো। শুরুর দিকে যেভাবে লড়াই হচ্ছিল, তাতে জার্মানদের মস্কো দখলের স্বপ্ন খুব বেশি দুর্জ্ঞেয় কোনো সমীকরণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে জার্মান বাহিনী কী খুঁজে পায়?
সোভিয়েত কাতিয়ুশা, ডাইভ দিয়ে আকাশ থেকে নেমে আসা জার্মানদের স্টুকা যুদ্ধ বিমান, কমিসার অর্ডার বনাম অর্ডার-২৭০, জার্মান-প্যাঞ্জার বনাম রাশিয়ান টি-৩৪, রাশিয়ান স্নাইপার বনাম জার্মান শার্প শ্যুটার, ল্যান্ডসার বনাম আইভ্যান। লড়াইয়ের যেন শেষ নেই! যন্ত্রের বিরুদ্ধে যন্ত্রের এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ– কাগজে থাকা তত্ত্বকে বাস্তবের মাটিতে প্রমাণ করার লড়াই। ফ্যুয়েরার আর দ্য-বস– দু’জনই গোটা গল্পের মুখ্য চরিত্র। তাঁদের প্রতিটি কাজ, সিদ্ধান্ত আর অদৃশ্য অক্ষ মেনে চলতে থাকা চূড়ান্ত নার্ভের লড়াইকে জানতে হলে, পড়তেই হবে এই অসামান্য বাস্তব রূপকথা।